শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইউনেস্কোর মর্যাদার জন্য মনোনীত ইরানের যে তিন শহর

পোস্ট হয়েছে: মে ২৩, ২০২৩ 

news-image

ইরানের তিনটি শহর ইউনেস্কো গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব লার্নিং সিটিস (জিএনএলসি) এর জন্য মনোনীত হয়েছে। দেশটির একজন পর্যটন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। আইআরআইবি রোববার পর্যটন কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তফা ফাতেমিকে উদ্ধৃত করে জানায়, হামেদান, কেলারদাশত এবং আরদাকান ইউনেস্কো গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব লার্নিং সিটিতে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে।

হামেদান উঁচু সমভূমিতে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অবস্থিত। শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি দর্শনার্থী বরণে সদা প্রস্তুত রয়েছে। মনোরম প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ, পাবলিক বাগান, রঙিন বহিরঙ্গন বাজার এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান নিয়ে শহরটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। শহরের অতিথিপরায়ণ লোকেদের কথা কখনও ভোলার নয়।

শাস্ত্রীয় সময়ে একবাটানা নামে পরিচিত হামেদান ছিল প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর। দুঃখজনকভাবে প্রাচীনকাল থেকে সামান্য কিছু বর্তমানে অবশিষ্ট আছে। কিন্তু শহরের কেন্দ্রস্থলের উল্লেখযোগ্য অংশগুলি খননকাজ পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে ঐতিহাসিক নানা কৌতূহল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম ভূদৃশ্যের জন্য পরিচিত কেলারদাশত একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। শহরটি কেবল দেশীয় নয় সারা বিশ্বের দর্শকদের আকর্ষণ করে। উত্তরের শহরটি সবুজ বন, তুষার-ঢাকা পাহাড় এবং আদিম নদী-বেষ্টিত। এটি প্রকৃতিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানকারীদের জন্য একটি আদর্শ অবস্থানে পরিণত হয়েছে।

শহরটির অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রাণবন্ত স্থানীয় বাজার দর্শনার্থীদের একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দেয়। এসব কিছু অবশ্যই যারা ভ্রমণ করবে তাদের সকলকে বিমোহিত ও মুগ্ধ করবে।

আরদাকান ইয়াজদ প্রদেশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক, স্থাপত্য, এবং আর্থ-সামাজিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। আরদাকানকে ইরানের মরুভূমির রত্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশাল মসজিদ এবং জরথুষ্ট্রীয় অগ্নি মন্দির সহ শহরের ল্যান্ডমার্ক কাঠামোগুলি ইসলামিক এবং প্রাক-ইসলামিক পারস্য ঐতিহ্যের অনন্য মিশ্রণ তুলে ধরেছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও, আরদাকান সূক্ষ্ম কার্পেট, মৃৎপাত্র এবং বস্ত্র তৈরির জন্যও বিখ্যাত। সূত্র: তেহরান টাইমস।