আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে কিছু তথ্য
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১৪, ২০১৬
আল আকসা হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম মসজিদ। মুসলমানদের প্রথম কেবলা হিসেবে পরিচিত এ মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমে বা বায়তুল মোকাদ্দাসে অবস্থিত।
বর্তমানে এ ঐতিহাসিক মসজিদটি ইসরাইল দখল করে রেখেছে। আল আকসা মসজিদের অর্থ হচ্ছে ‘দূরবর্তী মসজিদ’।
এ পবিত্র মসজিদ থেকেই রাসূল (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে তথা মেরাজ গমন করেছিলেন। মহান আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেছেন, “সকল মহিমা তাঁর যিনি তাঁর বান্দাকে এক রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন,যার চতুর্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি। (আর এই ভ্রমণ করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে) যাতে আমি আমার নিদর্শন তাকে প্রদর্শন করি।” (সূরা বনি ইসরাইল: আয়াত ১)
হযরত ইবরাহিম (আ) কর্তৃক কাবা গৃহ নির্মাণের ৪০ বছর পর হযরত ইয়াকুব (আ.) আল আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে হযরত সুলাইমান (আ.) এই মসজিদটির পুনর্নির্মাণ করেন। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা মুসলমানদের অধীনে আসার পর মুসলমান শাসকরা কয়েকবার এ মসজিদের সংস্কার করেন।
কিন্তু ১০৯৬ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন দখল করে নেয়ার পর আল আকসা মসজিদের ব্যাপক পরিবর্তন করে একে গির্জায় পরিণত করে। তারা মসজিদের গম্বুজের উপরে ক্রুশ স্থাপন করে এর নাম রাখে ‘সুলাইমানি উপাসনালয়’।
এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জেরুজালেম অধিকার করার পর পূর্বের নকশা অনুযায়ী আল আকসা মসজিদের পুনর্নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। আর এ মসজিদে পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সূত্র: পার্সটুডে