বুধবার, ১লা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

English

আজ শিল্পকলায় মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক ‘জালাল উদ্দিন রুমী’

পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ 

news-image

১২০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সুফি কবি জালাল উদ্দিন রুমীর জন্ম। প্রাচ্যের এক অখ্যাত গ্রামে যাঁর জন্ম, সেই কবির শায়েরি দুনিয়াজুড়ে বিক্রি হচ্ছে সমানতালে। তাঁকে স্মরণ করে আজ মঞ্চে আসছে নতুন নাটক, জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঙ্গলবার উদ্বোধন হবে বাংলাদেশ পারফরম্যান্স আর্ট গ্রুপের প্রযোজনা ‘জালাল উদ্দিন রুমী’। নাটকটি লিখেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু। নির্দেশনা দিয়েছেন সুজন মাহাবুব। তিনি একক চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন।

সুফি দার্শনিক, কবি ও মরমি সাধক জালাল উদ্দিন রুমি জীবনের শেষ ৫০টি বছর কাটিয়েছেন তৎকালীন কোনিয়ায়।

নাট্যকার জানালেন, ‘জালাল উদ্দিন রুমী’ নাটকের কাহিনি গড়ে উঠেছে রুমির জীবনের শেষ এক ঘণ্টাকে ঘিরে। নাট্যকারের ভাষায়, সূর্যাস্তের পর মাগরিবের আজানের মধ্য দিয়ে নাটকের শুরু এবং আলোকিত পূর্ণ চাঁদের জ্যোৎস্নায় সমাপ্তি ঘটে। তৎকালীন কোনিয়ার শাসনকর্তা মঈন উদ্দীন শাহ পরওয়ানের অনুরোধে জালাল উদ্দিন রুমীর দেওয়া মৃত্যু–পরবর্তী সমাধিস্থল নির্মাণভাবনা এবং শোকগাথা তথা এপিটাফ রচনার পটভূমিও এসেছে এ নাটকে।

‘জালাল উদ্দিন রুমী’ নাটকে সুজন মাহাবুব

নানা উপস্থাপনায় কাহিনিতে উঠে এসেছে রুমীর স্মৃতি, জীবনসঙ্গী, আধ্যাত্মিক গুরু শামস তাবরিজের প্রভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, গুণগ্রাহীর ভালোবাসা এবং রুমীর জীবন ও দর্শনের নানা অনুষঙ্গ। নাট্যকার অপূর্ব কুমার কুন্ডু বলেন, ‘পারস্যের কবি রুদাকি, ফেরদৌসি কিংবা শেখ সাদির মতোই রুমী বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইতিহাসের আলোয় তাঁকে দেখানোর চেষ্টা করেছি এ নাটকে।’
নির্মাতা সুজন মাহাবুব জানান, ‘জালাল উদ্দিন রুমী’ এক সমকালীন প্রযোজনা; যেখানে যাত্রা, বাচিক নাট্য, পটচিত্র, নৃত্য, ছায়া নাটক, কবিতা ও সংগীতের সম্মিলন ঘটেছে। ‘এটি শুধু বিনোদন নয়, দর্শকের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে,’ বলেন তিনি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাটকের প্রদর্শনী শুরু হবে। মঞ্চায়ন শেষে জালাল উদ্দীন রুমীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক মুমিত আল রশিদ, ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী প্রমুখ।