বাইতুল্লাহ আল-হারাম এর যিয়ারতকারী হাজীদের উদ্দেশে রাহবার আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর হজবাণী


পবিত্র হজের বিশ্বসম্মেলন উপলক্ষে ইসলামী বিপ্লবের নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী গত ২৫ অক্টোবর এক গুরুত্বপূর্ণ বাণী প্রদান করেন। ইসলামী বিপ্লবের নেতার হজবাণীর পূর্ণ বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হল।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম ও সালাত বর্ষিত হোক মহান বিশ্বাসী রাসূল এবং তাঁর পবিত্র ও বাছাইকৃত বংশধর ও সৌভাগ্যবান সাহাবাগণের ওপর।

রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ হজের মওসুম এখন সমুপস্থিত। এই মিলনকেন্দ্রে উপস্থিত হবার মর্যাদা এ বছর যাঁরা লাভ করেছেন সেসব সৌভাগ্যবান আল্লাহর ফযলের দ্বারা আরো একবার স্নাত হয়েছেন। এখানকার সময় ও স্থান আপনাদের প্রত্যেক হজ পালনকারীকে আধ্যাত্মিক ও বস্ত্তগত উন্নতি-অগ্রগতির দিকে আহবান জানাচ্ছে। এখানে মুসলমান নারী-পুরুষ অন্তরে ও মুখে কল্যাণ ও সাফল্যের দিকে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। এখানে সবাই পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, এক রঙে রঙিন হওয়া ও পরহেযগারিতা অনুশীলন করার সুযোগ লাভ করেন। এই স্থানটি হচ্ছে শিক্ষা ও দীক্ষা লাভের প্রশিক্ষণ শিবির। ইসলামী উম্মাহর ঐক্য, মহত্ত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রদর্শনী স্থল, শয়তান ও তাগুতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সামরিক রণক্ষেত্র হলো এটি। এই স্থানকে মহান শক্তিশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ এমন স্থানে পরিণত করেছেন, যেখানে মুমিনরা তাদের স্বার্থ ও কল্যাণসমূহ প্রত্যক্ষ করবেন। আমরা যখন প্রজ্ঞা ও শিক্ষার চোখ খুলি তখন এই ঐশী প্রতিশ্রুতি আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের সকল ক্ষেত্রকে আবিষ্ট করে ফেলে। হজের বিধিবিধানগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, দুনিয়া ও আখেরাত আর ব্যক্তি ও সামাজের মিলে মিশে একাকার হওয়া। সাজসজ্জাহীন অথচ গাম্ভীর্যপূর্ণ কাবাঘর, একটি মজবুত ও চিরন্তন কেন্দ্রিকতার চারপাশ ঘিরে দেহ ও অন্তরসমূহের তাওয়াফ বা চক্রাকার ঘূর্ণন, একটি উৎস ও একটি পরিণতির মাঝখানে অবিরত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ সায়ী বা দৌড়ানো, জাগৃতির বিশাল প্রান্তর আরাফাত ও মাশআরুল হারাম মুযদালিফা আর এই বিশাল বিপুল সমাবেশে উপস্থিতির চেতনা ও উপলব্ধি অন্তরসমূহে অনাবিল স্বচ্ছতা ও সজীবতা প্রদান করে। শয়তানের প্রতীকের সাথে মোকাবিলার জন্য সমবেতভাবে সেদিকে ধাবিত হওয়া এবং আধ্যাত্মিক  গূঢ় রহস্যমাখা ও হেদায়াতের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সকল আনুষ্ঠানিকতায় সবার একাগ্র, এক মন, এক ধ্যান, এক রং ও এক আকৃতি ধারণ করা অতীব তাৎপর্যপূর্ণ এই ফরয ইবাদাতের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য।

এর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতাই আল্লাহর স্মরণের মধ্য দিয়ে অন্তরে অন্তরে বন্ধন সৃষ্টি করে। মানুষের অন্তর যখন নির্জনতায় আত্মস্থ হয় তখন তাকওয়া ও ঈমানের আলোতে তা উদ্ভাসিত হয়ে যায়। ব্যক্তিকে তার নিজস্বতার গন্ডি থেকে বের করে আনে আর ইসলামী উম্মাহর বিচিত্র সমষ্টির মাঝে তাকে একাকার করে ফেলে। তাকে পরহেযগারীর পোশাকে সজ্জিত করে। যে পোশাক বর্মের মতো তাকে গোনাহের কলুষ এর তীর-বল্লম থেকে হেফাজত করে। সেই সাথে শয়তান ও তাগুতীদের ওপর আক্রমণ-উদ্যত হওয়ার মনোভাব তার মধ্যে সৃষ্টি করে। এখানে এসেই একজন হজ পালনকারী ইসলামী উম্মাহর বিশাল বিস্তৃত পরিধি স্বচক্ষে দেখতে পান। আর তাঁর সক্ষমতা ও শক্তিমত্তা প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হন। তিনি তখন ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী হন। তিনি ভবিষ্যৎ নির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্যও প্রস্ত্ততির চেতনায় উজ্জীবিত হন। অনুরূপভাবে যদি আল্লাহর সাহায্য ও তওফীক সৌভাগ্যে থাকে, তাহলে মহান পয়গাম্বর (সা.)-এর সঙ্গে নতুন করে বাইআতের চেতনায় প্রতীজ্ঞাবদ্ধ হন। ইসলামের সাথে নিজের মজবুত অঙ্গীকার নবায়ন করেন। একই সাথে নিজের সংশোধন, সমাজের সংশোধন ও ইসলামের আওয়াযকে বুলন্দ করার জন্য নিজের মধ্যে এক দৃঢ় প্রত্যয় অনুভব করেন।

এই দু’টি বিষয় অর্থাৎ নিজের সংশোধন ও সমাজের সংশোধন- এ দু’টি হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন দ্বীনী কর্তব্য। গভীর অনুধ্যান এবং জ্ঞান ও বিচক্ষণতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে এই কর্তব্য পালনের কর্মকৌশল খুঁজে পাওয়া চিন্তাশীল ও সন্ধানী লোকদের জন্য কঠিন কিছু নয়।

নিজের সংশোধন শুরু হয় শয়তানী কামনা-বাসনার সাথে সংগ্রাম এবং গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে। আর উম্মতের সংশোধন শুরু হয় দুশমন ও তার নীল-নকশাগুলো চেনা আর দুশমনের আঘাত, ধোঁকা ও শত্রুতাসমূহ ব্যর্থ করে দেয়ার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে। অতঃপর সর্বস্তরের সকল দেশের মুসলমানদের অন্তর, মুখ ও হাতসমূহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ ও একাত্ম হওয়ার মাধ্যমে তা সুসম্পন্ন হয়।

আজকের যুগ সন্ধিক্ষণে মুসলিম জাহানের যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইসলামী উম্মাহর ভাগ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা হচ্ছে, উত্তর আফ্রিকা ও এতদঞ্চলে বৈপ্লবিক ঘটনাবলি- যা এ পর্যন্ত কয়েকটি নষ্ট চরিত্র, আমেরিকার অনুগত ও যায়নবাদী ইসরাঈলের মিত্র সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আর এ জাতীয় অন্যান্য সরকারের মাঝে কাঁপন ধরিয়েছে। মুসলমানরা যদি এই বিশাল সুযোগকে হাতছাড়া করে আর ইসলামী উম্মাহর সংশোধনের পথে কাজে না লাগায় তাহলে তারা নিজেদেরকে মারাত্মক ক্ষতিতে নিমজ্জিত করবে। বর্তমানে এসব বিশাল ইসলামী আন্দোলনকে বিচ্যুত করার জন্যই আগ্রাসী দাম্ভিক শক্তিগুলোর যাবতীয় প্রচেষ্টা নিয়োজিত রয়েছে। এসব ব্যাপকভিত্তিক আন্দোলনে মুসলিম নারী-পুরুষ শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-অত্যাচার ও আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন- যে আধিপত্য বিভিন্ন জাতিকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করেছে এবং অপরাধী যায়নবাদী সরকারের সাথে এসব সরকারের মৈত্রীর কারণ হয়েছে। এতদঞ্চলের জাগ্রত জনতা মনে করেন যে, জীবন-মরণের এই সংগ্রামে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম, ইসলামের শিক্ষা এবং মুক্তির গ্যারান্টিযুক্ত ইসলামী স্লোগানসমূহ। তাঁরা দরাজ কণ্ঠে এসব কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁরা ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের প্রতিরক্ষা এবং আগ্রাসী যায়নবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে তাঁদের দাবি-দাওয়ার শিরোভাগে স্থান দিয়েছেন। তাঁরা মুসলিম দেশগুলোর জনগণের দিকে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করেছেন এবং তাঁরা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির দাবিদার। এগুলোই সেসব দেশে গণঅভ্যুত্থানের মৌলিক ভিত্তিসমূহের অন্যতম, যেখানে গত দুই বছরে মুক্তি-স্বাধীনতা ও সংস্কারের ঝান্ডা উত্তোলন করেছেন এবং জানবাজি রেখে বিপ্লবের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন। এগুলোই মহান ইসলামী উম্মাহর সংশোধনের মূল ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। এসব মৌলিক নীতির ওপর অবিচল থাকাই এসব দেশে গণবিপ্লবসমূহের চূড়ান্ত বিজয় লাভের জন্য অনিবার্য শর্ত।

দুশমন চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে এই মূল বুনিয়াদগুলো নড়বড়ে করে ফেলতে পারে। আমেরিকা, ন্যাটো ও যায়নবাদের নষ্ট দোসররা কতক অবহেলা ও অগভীর দৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে মুসলিম তরুণদের প্লাবনের মতো বেগবান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং তাদেরকে ইসলামের দোহাই দিয়ে পরস্পরের ওপর লেলিয়ে দিতে সক্ষম হয়। আর সাম্রাজ্যবাদ ও যায়নবাদবিরোধী জিহাদকে ইসলামী জাহানের অলিগলিতে অন্ধ সন্ত্রাসবাদে রূপান্তরিত করা যায়। যেন মুসলমানদের রক্ত একে অপরের হাত দিয়েই মাটিতে ঝরে, ইসলামের দুশমনরা কোণঠাসা অবস্থা থেকে রক্ষা পায় আর ইসলামের মুজাহিদরা দুর্নামের ভাগী হয় ও তাদের পরিচয়কে কালিমালিপ্ত করা যায়।

ইসলাম ও ইসলামী স্লোগানসমূহ মুছে ফেলার ব্যাপারে নিরাশ হবার পর তারা এখন ইসলামী ফিরকাসমূহের মধ্যে ফিতনা ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছে আর শিয়াভীতি ও সুন্নীভীতি সৃষ্টির চক্রান্তের মাধ্যমে ইসলামী উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

তারা এতদঞ্চলে তাদের দালালদের মাধ্যমে সিরিয়ায় সংকট সৃষ্টি করছে, যাতে জাতিসমূহের জনমতকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি হতে এবং তাদের জন্য যেসব বিপদ ওঁত পেতে আছে সেগুলো থেকে বিচ্যুত করতে পারে। আর তারা ইচ্ছা করে যেসব রক্তাক্ত ঘটনার জন্ম দিয়েছে সেদিকে নিবদ্ধ করতে পারে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও মুসলিম যুবকদের একজনের হাতে আরেকজনকে হত্যা এমন এক অপরাধযজ্ঞ, যা আমেরিকা ও যায়নবাদ এবং তাদের অনুগত দেশগুলোর দ্বারা শুরু হয়েছে। আর সে আগুনে ইন্ধন যোগানো হচ্ছে। কে এ কথা বিশ্বাস করতে পারে যে, মিসর, তিউনিসিয়া ও লিবিয়ার কলঙ্কিত একনায়কদের সাহায্যকারী দেশগুলো এখন সিরিয়ার জনগণের গণতন্ত্র উদ্ধার প্রচেষ্টার সাহায্যকারী হয়েছে? সিরিয়ার ঘটনা হচ্ছে এমন এক সরকারের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের ঘটনা, যে সরকার দীর্ঘ তিন দশক ধরে একাকী আগ্রাসী যায়নবাদীদের মোকাবিলায় রুখে দাঁড়িয়েছে এবং ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে।

আমরা সিরীয় জাতির পক্ষপাতি এবং সে দেশে যে কোন ধরনের বৈদেশিক উস্কানি ও হস্তক্ষেপের বিরোধী। সে দেশে যে কোন ধরনের সংস্কার স্বয়ং জনগণের মাধ্যমে এবং সম্পূর্ণ জাতীয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন হতে হবে। আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদীরা যে এতদঞ্চলের আজ্ঞাবহ সরকারগুলোর সাহায্যে একটি দেশে সংকটের জন্ম দেবে, অতঃপর সংকট বিরাজ করছে মর্মে অজুহাত তুলে সে দেশে যে কোন ধরনের অপরাধযজ্ঞ চালানোর জন্য নিজেদের পক্ষে বৈধতার সার্টিফিকেট নেবে, তা এক ভয়াবহ বিপদাশংকা, যদি এতদ এলাকার সরকারগুলো এর বিরুদ্ধে তৎপর না হয় তাহলে এমন দিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে, যেদিন তারা নিজেরাই দাম্ভিক শক্তিগুলোর প্রতারণার ফাঁদে আটকা পড়বে।

ভাই ও বোনেরা! হজের মওসুম হচ্ছে ইসলামী জাহানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা ও অনুধ্যানের সুযোগ। এতদঞ্চলের বিপ্লবসমূহের ভাগ্য এবং এসব বিপ্লবের দ্বারা মার খাওয়া শক্তিগুলোর পক্ষ হতে বিপ্লবসমূহকে বিপথগামী করার জন্য যেসব প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তা এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।

মুসলমানদের মাঝে মতানৈক্য সৃষ্টির জন্য বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ নীল নকশাসমূহ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সাথে জাগ্রত দেশগুলোর ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি, ফিলিস্তিন সমস্যা, আন্দোলনকারীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা, ফিলিস্তিনী জিহাদী আন্দোলনকে দমিয়ে দেয়া, পশ্চিমা দেশগুলোর ইসলাম বিধ্বংসী প্রচারণা, পয়গাম্বরে আকরাম (সা.)-এর পবিত্র মর্যাদার অবমাননাকারীর প্রতি তাদের সমর্থন দান, কতিপয় মুসলিম দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানো এবং দেশকে খন্ড-বিখন্ড করার জন্য ক্ষেত্র প্রস্ত্ততকরণ, পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত বিপ্লবী দেশ ও জাতিসমূহকে ভয় প্রদর্শন, তাদের মনে এই ভাবধারা প্রবিষ্ট করানো যে, তাদের ভবিষ্যৎ আগ্রাসীদের সম্মুখে আত্মসমর্পণ করার মধ্যেই নিহিত এবং এ জাতীয় অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় এমনই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত যেগুলো নিয়ে আপনারা হাজী সাহেবদের উচিত সহমর্মিতা ও সমচিন্তার নিরিখে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা ও অনুধ্যান করা।

নিঃসন্দেহে আল্লাহর হেদায়াত ও সাহায্য মুমিনদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করবে। আল্লাহ পাক বলেছেন, যারা আমার জন্য জিহাদ করবে আমি তাদেরকে আমার পথসমূহ দেখিয়ে দেব।

ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

অনুবাদ : ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী