শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

বিশ্ব জ্বালানি বাজারে ইরানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

পোস্ট হয়েছে: মে ২৩, ২০১৮ 

news-image

আন্তর্জাতিক গ্যাস বাজারে ইরান উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গ্যাস রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন গ্যাস এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ ফোরামের (জিইসিএফ) মহাপরিচালক ইয়ুরি সেন্তিরিন। গ্যাসের বিপুল পরিমাণ মজুদ থাকায় দেশটির জন্য এই সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

গাসের বিশ্ব বাজারে ইরানের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে ইরানের অন্যতম বৃহত্তম গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তাই বিশ্ব বাজারে গ্যাস উৎপাদনে দেশটির সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে।

ইউরোপের গ্যাস বাজারে ইরানের প্রবেশ ও এক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটি যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তার উল্লেখ করেন সেন্তিরিন। বলেন, এই লাভজনক বাজার হতে কোন দেশ লাভবান হচ্ছে সেটা কোনো বিষয় না। আমরা আমাদের ফোরাম থেকে বিশ্ব বাজারের সিংহভাগ গ্যাস পাচ্ছি। এই বাজার যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তাই সদস্য দেশগুলোর উচিত নিজ নিজ ভোক্তাদের খুঁজে নেওয়া।

উল্লেখ্য, জিইসিএফ নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। বৈশ্বিকভাবে গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানি ইস্যুতে সমন্বয় সাধনের জন্য ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে ইরান, রাশিয়া, কাতার ও কিছু সংখ্যক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ।

বিশ্বের ৭০ শতাংশ গ্যাস সম্পদের জন্য অবদান রয়েছে গ্যাস রপ্তানিকারক দেশগুলোর এই ফোরামের। আর বিশ্বের ১৯ টিরও বেশি দেশ এই গ্যাসের মালিক। এর মধ্যে মূল সদস্য রাষ্ট্র ১২টি। অন্যদিকে পর্যবেক্ষণে রয়েছে বাকি ৭টি দেশ।

আলজেরিয়া, বলিভিয়া, মিশর, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরান, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার, রাশিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভেনেজুয়েলা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) জিইসিএফের প্রধান প্রধান সদস্য দেশ। অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডস, ইরাক, কাজাখস্তান, ওমান, পেরু এবং আযারবাইজান ফোরামের পর্যবেক্ষক সদস্য দেশ।

ইরান মূলত বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ইরাক ও তুরস্কে গ্যাস রপ্তানি করে। তুরস্কের কাছে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস বিক্রি করে দেশটি। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।