শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের জাফরান রফতানি বেড়েছে ২৫ শতাংশ

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ৯, ২০১৭ 

news-image

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা জাফরান, যার ৯০ ভাগই উৎপাদন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। সম্প্রতি দেশটিতে ঐতিহ্যবাহী এই মসলার রফতানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই (২১ মার্চ থেকে ২২ জুলাই) ৫৮ দশমিক ২ টনেরও বেশি জাফরান রফতানি করেছে ইরান। এসব মসলা রফতানি করা হয়েছে বিশ্বের ৫০টি দেশে।

ইরানের এ থেকে আয় হয়েছে ৭৮ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওজন ও মূল্যের দিক থেকে যথাক্রমে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও ২২ দশমিক ৯ শতাংশ।

ওই সময়ে স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তাইওয়ান, তুরস্ক, চেক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন ইরানি জাফরান রফতানির অন্যতম মূল গন্তব্য ছিলো।

ফিনানসিয়াল ট্রিবিউনের খবরে জানানো হয়, ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জাফরান উৎপাদনকারী দেশ। বৈশ্বিকভাবে উৎপাদিত জাফরানের ৯০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হয় সেখানে। আর ইরানে উৎপাদিত জাফরানের ৯৫ ভাগই চায় হয় দেশটির দুই প্রদেশ- দক্ষিণ খোরাসান ও খোরাসান রাজাভিতে।

ইরানের জাতীয় জাফরান কেন্দ্রের চেয়ারম্যান গোলাম রেজা মিরি বলেন, গত ইরানি বছরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৭টি দেশে ইরান থেকে ১৭২ টনের অধিক জাফরান রফতানি করা হয়েছে, যার মূল্য ২৪৬.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় রফতানির পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ।

উল্লেখ্য, জাফরান খাবারে সোনালি হলুদ রং আর দারুণ সুগন্ধি আনতে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন মিসর এবং রোমে এর ব্যবহারের বিস্তারিত রেকর্ড রয়েছে, যেখানে রং করার কাজে, সুগন্ধ দ্রব্যসমূহ তৈরিতে, ওষুধ এবং রন্ধনশীল্পের উপাদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো। এছাড়া মোগল সম্রাটদের রাজকীয় খাবারে ব্যবহার করা হতো সুগন্ধি রঙ ও ভেষজ উপাদানটি।

ইরানে হাজার হাজার বছর ধরে উদ্ভিদটির চাষাবাদ হয়ে আসছে এবং সেদেশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জাফরান চাষের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস।মজার বিষয় হলো ১ লাখ ৭০ হাজার ফুলের ওজন ১০০ কেজি। আর এ থেকে মাত্র এক কেজি শুকনো জাফরান উৎপাদন হয়ে থাকে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন।